শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জেলে থাকায় দেশ এখন ভালো আছে। আগুনে পুড়িয়ে মারা অগ্নি সন্ত্রাসীরা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে আহ্বান জানান।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের গডমাদার হচ্ছে খালেদা জিয়া। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। এর চেয়ে বড় সন্ত্রাস আর কী হতে পারে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, হরতাল-অবরোধ দিয়ে খালেদা জিয়া মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেই অবরোধ-হরতাল এখনও ভুলেনি। তার হুকুমে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে, কত বোন বিধবা হয়েছে। সে তো জেলে আছে, দেশ ভালো আছে। তার জন্য আবার কারও কারও মায়াকান্নাও দেখি।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া যে জেলে আছে, সে তো ভালো রাজার হালেই আছে। জেলখানা থেকে এখন হাসপাতালে। তার জন্য আবার মেইড সার্ভেন্ট দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এই দৃষ্টান্ত দেখাতে পারবে জেলে সাজাপ্রাপ্ত আসামির সেবার জন্য কোন কাজের বুয়া যায়। সেটাও কিন্তু সে পাচ্ছে। তার অসুস্থতা, সেটাতো পুরানো। ৯১ সালে সরকারে এসে তার নি রিপলেস করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একে তো ভোটচুরি, মানুষ হত্যা, আগুন দিয়ে পোড়ানো, এতিমের অর্থ আত্নসাৎ, দুর্নীতি, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আইভী রহমানসহ মানুষ হত্যা অর্থাৎ জিয়া যেমন খুনি ছিল, খালেদা জিয়াও আরেক খুনি, তার ছেলেও খুনি। এই পরিবারটাই খুনের পরিবার। মানুষ খুন করা, দুর্নীতি করা, অর্থ আত্মসাৎ করা ছাড়া আর কিছুই জানে না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে অনেকে অনেক কিছুই বলতে পারে। এটা হয়েছে ওটা হয়েছে, ও এনজিও করেছে, তার জন্য দেশ উন্নতি হয়েছে। কিন্তু উন্নতি যদি হতো তাহলে দারিদ্যের হার কমেনি কেন? একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, তখন হয়েছে। আজকে আমরা ৮ দশমিক ১৩ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে মা-বোন থেকে শুরু করে প্রত্যেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম, স্বাক্ষরতার হার, বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম, বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল। আমরা প্রতিটি সেক্টরকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এতে আমাদের অর্থনীতির চাকা আরও সচল হয়। দুর্ভাগ্য হলো ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আমাদের আসতে দেয়া হয়নি, সেটা একটা গভীর চক্রান্ত ছিল। ২০০১ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছিল। এই নির্যাতনের শিকার শুধু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তা না, একদিনে ১৩ জন সচিবের চাকরি নেই। শত শত সেনা অফিসার, সিভিল প্রাশসকদের চাকরিচ্যুত করা হলো। আর যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়নি তাদের ওএসডি করা হয়েছিল, যতদিন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল তারা ওএসডি ছিল। এভাবে তারা অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাতে থাকে।
জাতীয় কমিটির সভায় আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, লে. কর্ণেল (অব.) ফারুক খান, নূরুল ইসলাম নাহিদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আজমত উল্লাহসহ আরও অনেকে উপস্থিত আছেন।